অনলাইন ডেস্ক :: সাভারে লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধ করে পোশাক কারখানা খোলা রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা।
সোমবার সকালে শ্রমিকরা সমবেত হয়ে রেডিও কলোনি, শিমুলতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করে। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী মানুষ।
শ্রমিকদের অভিযোগ, সরকার লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধ করলেও পোশাক কারখানা খোলা রেখেছে। কারখানায় বিলম্বে উপস্থিত হলে হাজিরা কাটা হয়। কিন্তু শ্রমিকরা কীভাবে কারখানায় যাবেন, সে ব্যবস্থা না থাকায় হাজার হাজার শ্রমিক বিপাকে পড়েছেন।
জানা যায়, সোমবার সকালে ঘর থেকে বের হতেই শ্রমিকরা গণপরিবহণ না পেয়ে হাজিরা কাটার ভয়ে সড়কে প্রথমে বিক্ষোভ করেন। পরে তারা একজোট হয়ে সড়কে নেমে অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ধীরে ধীরে সড়কের উভয় পাশে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হওয়ায় অফিস, হাসপাতাল কিংবা জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষ ছাড়াও পণ্যবাহী যানবাহনের শ্রমিকরা পড়েন ভোগান্তিতে।
শিল্প পুলিশের এসআই পুলিশ জানায়, সারা দেশে আজ থেকে লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা নিজ কর্মস্থলে যেতে না পারায় সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের রেডিওকলোনি বাসস্ট্যান্ড অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিকরা।
করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আজ সোমবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তিন দিনের সীমিত লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় সকাল থেকে পথে পথে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে পেশাজীবীদের। অনেকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যের দিকে ছুটেছেন।
তিন দিনের লকডাউন ঘোষণা করে রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে হবে কঠোর লকডাউন।
করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় নতুন পাঁচটি শর্ত সংযুক্ত করে তিন দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা শুরু হবে।
পাঠকের মতামত: